বাংলাদেশসহ নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের ৯৫টি দেশে নিজেদের তৈরি কোভিড পিল ‘প্যাক্সলোভিড’ উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে ফাইজার। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য গোষ্ঠী মেডিসিন্স প্যাটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে লাইসেন্স ভাগাভাগির আওতায় দ্বিতীয় হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিটি এ ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে ফাইজারের প্রতিদ্বন্দ্বী মার্ক অ্যান্ড কো. একই প্রক্রিয়ায় জেনেরিক ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ তৈরির লাইসেন্স দেয়। ওষুধটি বাংলাদেশসহ ১০৫টি দেশের কোম্পানি তৈরি করে বাজারেও এনেছে।
জানা গেছে, ৯৫টি দেশের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ওষুধটি বিক্রিতে রয়্যালটি নেবে না ফাইজার। সে হিসেবে বেশ কম দামে ওষুধটি পেতে পারে বাংলাদেশ। তবে চুক্তির আওতায় অন্য দেশগুলোও রয়্যালটি ছাড় পাবে। বিশেষ করে যতদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ঘোষণা অনুযায়ী কোভিড-১৯ ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি’ পরিস্থিতি হিসেবে শ্রেণিভুক্ত থাকবে।
লাইসেন্স চুক্তির আওতায় থাকা ৯৫টি দেশে বিশ্বের প্রায় ৫৩ শতাংশ মানুষের বাস। এর মধ্যে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ এবং আফ্রিকার উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো রয়েছে। এর বাইরে গত পাঁচ বছরে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ হওয়া দেশগুলোও চুক্তির আওতায় পড়বে।
ফাইজার জানিয়েছে, প্যাক্সলোভিড পিল মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়ষ্ক রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর সুযোগ ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে বলে প্রমাণ মিলেছে। রিটোনাভিরের সঙ্গে যুক্ত করে ব্যবহার করা হবে ওষুধটি। যুক্তরাষ্ট্রে এর একটি কোর্সের দাম মার্কের মত প্রায় ৭০০ ডলার নির্ধারণ করা হবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
মেডিসিন্স প্যাটেন্ট পুলের (এমএমপি) নির্বাহী পরিচালক চার্লস গোর বলেন, কোভিড-১৯ এর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মানুষকে রক্ষায় আমাদের ভাণ্ডারে নতুন আরেকটি অস্ত্র যোগ হলো। আমরা খুবই আনন্দিত। কয়েক মাসের মধ্যে ফাইজারের ওষুধটির জেনেরিক সংস্করণ বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানান গোর।
সূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভি